জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে শিষ্টাচার মেনে চলার অপরিসীম গুরুত্ব রয়েছে। ক্লাস রুমেও কিছু আচারবিধি আছে, যা মেনে চললে শিক্ষার্থী নিজে যেমন উপকৃত হবে, তেমনি ক্লাসের সবাই সামগ্রিকভাবে উপকৃত হবে। ক্লাস রুমের শিষ্টাচার সম্পর্কে জানাচ্ছেন বিপুল জামান।
নিয়মিত এবং নির্দিষ্ট সময়ে ক্লাসে উপস্থিত হও। অনিয়মিত ক্লাস করলে পড়া বুঝবে না। নির্দিষ্ট সময়ের পর ক্লাসে উপস্থিত হলে ক্লাস নিতে শিক্ষকের এবং ক্লাসের অন্যদের মনোযোগের ব্যাঘাত ঘটে।
ক্লাসে শিক্ষক প্রবেশ করলে দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা জানাও। শিক্ষক আগে প্রবেশ করলে অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করো।
ক্লাসরুমে শিক্ষকের সামনে গা এলিয়ে দিয়ে বা পায়ের ওপর পা তুলে বসবে না। সোজা হয়ে বসো।
ক্লাস চলাকালে ইশারায় ডাকাডাকি করা, ফিসফাস করা বা জোরে জোরে নিজেরা কথা বলা, কাগজ, রুমাল বা কোনো কিছু ছোড়াছুড়ি করবে না।
ক্লাসে অন্য বই খুলে পড়া/দেখা কিংবা খাতার নিচে গল্পের বই লুকিয়ে রেখে পড়া, আড়ালে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকা, চুইংগাম বা মুখে কোনো খাবার চিবানো থেকে বিরত থাকো।
ক্লাসে উদাসী হয়ে থাকবে না। মনোযোগ দিয়ে শিক্ষকের কথা শোনো। শিক্ষক কোনো প্রশ্ন করলে তার উত্তর দাও।
কোনো কিছু বুঝতে না পারলে প্রশ্ন করার অনুমতির জন্য হাত তোলো। শিক্ষক অনুমতি দিলে প্রশ্ন করো। কিন্তু অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করে শিক্ষককে বিব্রত করার চেষ্টা করবে না।
শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলতে হলে একজন একজন করে বলো, কয়েকজন একসঙ্গে নয়।
ক্লাস চলাকালে কিছু সময়ের জন্য শিক্ষক বাইরে গেলেও শ্রেণিকক্ষে অবস্থান করো। কথা বলা, আসন ছেড়ে ওঠাসহ কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে না।
নতুন শিক্ষককে তার প্রথম ক্লাস থেকেই আন্তরিকভাবে গ্রহণ করো। আগের কোনো শিক্ষকের সঙ্গে তুলনা করবে না। তাকে নতুন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার প্রয়োজনীয় সময় দাও।
শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে তার চেয়ার বা টেবিলে বসবে না। নিজেদের ডেস্ক বা হাই-বেঞ্চেও বসবে না।
স্কুল ল্যাবগুলি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি দুর্দান্ত জায়গা যা শ্রেণিকক্ষে শেখানো বিজ্ঞানের তাত্ত্বিক ধারণাগুলি বোঝার মাধ্যমে তাদের শেখার উন্নতি করতে সহায়তা করে।
সুপরিকল্পিত পরীক্ষাগারগুলি কেবল বিজ্ঞান পরীক্ষাগুলি মজাদার করে তোলে না তবে শিক্ষার্থীদের ভাল একাডেমিক ফলাফল অর্জনে সহায়তা করে। সুতরাং, শিক্ষার্থীদের জন্য আরও ভাল শিক্ষার সুযোগ প্রদানের জন্য সমস্ত বেসরকারী বিদ্যালয়ে প্রশস্ত এবং যথাযথ পরীক্ষাগার থাকতে হবে।
শিশুদের জন্য বিজ্ঞান পরীক্ষা-নিরীক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারা বিজ্ঞানের তত্ত্ব এবং ধারণাগুলি বোঝার জন্য দরকারী যা কেবল বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তক দ্বারা একা অধ্যয়ন করা যায় না। কিন্তু সায়েন্স ল্যাবগুলো ঝুঁকিপূর্ণ তাই দুর্ঘটনা ও আঘাত এড়ানোর জন্য অবশ্যই কিছু নিরাপত্তা বিধি মেনে চলতে হবে।
১. বাচ্চাদের কোনও রাসায়নিক বা ল্যাব সরঞ্জাম স্পর্শ করতে দেওয়া উচিত নয়।
২. শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যাবে না।
৩. কোনও রাসায়নিক ব্যবহার করার আগে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই লেবেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে
৪. তাদের অবশ্যই ল্যাবে সুরক্ষা চশমা, ল্যাব কোট এবং জুতা পরতে হবে
একটি কম্পিউটার ল্যাব একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সূক্ষ্ম পরিবেশ যা কঠোর সুরক্ষা এবং রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। তাই নিশ্চিত হতে হলে কম্পিউটার ব্যবহারের সময় কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
১. কম্পিউটার ল্যাব ঠাণ্ডা রাখতে হবে।
২. কম্পিউটার ল্যাবে খাওয়া-দাওয়া অনুমোদিত নয়।
৩. মাটিতে পা রেখে কাজ করার জন্য শিক্ষার্থীদের অবশ্যই তাদের আকারের একটি চেয়ার বা ডেস্ক থাকতে হবে।
৪. কম্পিউটার ল্যাবে কম্পিউটার বা সিস্টেম মেরামত, ইনস্টল বা সমস্যা সমাধানের জন্য কাউকে অনুমতি দেওয়া হয় না
পরীক্ষাগারগুলি আবশ্যক তবে এটি নিরাপদ এবং ভালভাবে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি শিশু স্কুল ল্যাবগুলিতে আরও ভাল শেখার অভিজ্ঞতা পাবে!
একটি মাঠ হল একটি বৃহৎ তৃণআচ্ছাদিত মাঠ, যেখানে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। যদিও আকারে সাধারণত উপবৃত্তের মত, এর মধ্যেও আবার বিভিন্ন ধরন রয়েছে: কিছু প্রায় নিখুঁত বৃত্তের মত, কিছু লম্বাটে উপবৃত্তাকার এবং কিছু সম্পূর্ণ অনিয়মিত আকারের,- যার কোনও প্রতিসাম্য নেই – তবে তাদের সকলেরই সম্পূর্ণ বক্র সীমানা থাকে, তার কোন ব্যতিক্রম হয়না। মাঠের জন্য কোনও নির্দিষ্ট মাত্রা থাকেনা তবে এর ব্যাস সাধারণত ৪৫০ ফুট (১৩৭ মি) এবং ৫০০ ফুটের (১৫০ মি) মধ্যেই হয়। বড় খেলাগুলির মধ্যে ক্রিকেট একটু অস্বাভাবিক (গল্ফ, অস্ট্রেলীয় রুলস ফুটবল এবং বেসবল সহ) যেখানে পেশাদার খেলার জন্য নির্দিষ্ট আকারের কোনও স্থিরীকৃত নিয়ম নেই। বেশিরভাগ মাঠে, একটি দড়ি দিয়ে মাঠের পরিধি নির্দিষ্ট করা হয় এবং সেটি বাউন্ডারি নামে পরিচিত।
সীমানার মধ্যে এবং সাধারণত যতটা সম্ভব কেন্দ্রের কাছাকাছি, থাকে বর্গক্ষেত্র, যেটি সাবধানে প্রস্তুত ঘাসের একটি অঞ্চল।
সেখানে ক্রিকেট পিচ প্রস্তুত করে খেলার জন্য চিহ্নিত করা হয়। পিচের মধ্যে ব্যাটসম্যান তাকে করা বলকে ব্যাট দিয়ে মারে এবং রান করার জন্য দুই পাশের উইকেটের মধ্যে দৌড়োয়, ফিল্ডিং দল এটিকে প্রতিরোধ করতে বলটি যে কোন এক দিকের উইকেটে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।